গাইডটি ডাউনলোড করতে এখানে  ক্লিক করুন

কেন শুধু ফেসবুক অ্যাড দিয়ে আপনার ব্যবসা বড় বা স্টেবল হচ্ছে না

কেন শুধু ফেসবুক অ্যাড দিয়ে আপনার ব্যবসা বড় বা স্টেবল হচ্ছে না

আপনার ব্যবসাটা কি অনেকটা ইফতারির সময়ে তাড়াহুড়ো করে ভাজা বেগুনির মতো? মানে, বাইরেটা দেখতেছেন মচমচে, কিন্তু ভেতর দিকটা কাঁচা থেকে যাচ্ছে? 🍆

অনেক ফেসবুক পেইজ মালিক, যাঁরা ফেসবুক অ্যাড চালান, তাঁদের গল্পও অনেকটা এমনই। অ্যাড দিচ্ছেন আর দ্রুত কিছু অর্ডার পাচ্ছেন। কিন্তু একবার অ্যাড বন্ধ হলেই, অর্ডারের ফ্লোও বন্ধ হয়ে যায়। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, এই “অ্যাড নির্ভর” মডেল আসলে কতটা টেকসই?

আমরা বুঝি, ফেসবুক অ্যাডে ইনস্ট্যান্ট রেজাল্ট আসে, ঠিক প্রথম বেগুনির কামড়ের মতো ভালো লাগে। কিন্তু আপনার ব্যবসার ভেতরটা, যেখানে আপনার নন-পেইড ট্রাফিক, গ্রাহকের আস্থা এবং লম্বা সময়ের জন্য টেকসই সিস্টেমের দরকার, সেখানে কিছু ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।

আপনার প্রয়োজন একটি ৩৬০ ডিগ্রি মার্কেটিং মেথড।

আপনার ব্যবসাকে সত্যিকারে GROW করতে হলে, শুধু ফেসবুক অ্যাড নয়—আপনার প্রয়োজন একটি ৩৬০ ডিগ্রি মার্কেটিং মেথড। 

  • ফেসবুক অ্যাড তো “তৎক্ষণাৎ ফলের” জন্য ভালো।
  • SEO দিয়ে আপনি “লংটার্ম রেজাল্ট” পেতে পারেন।
  • ইমেইল ও SMS মার্কেটিং পুরাতন ক্লাইন্ট রিভাইভের সেরা উপায়।
  • আপনি চাইলে লোকাল মার্কেটে অন্য সব প্রতিযোগীর চেয়ে সেরা অবস্থানে চলে যেতে পারেন। 

অ্যাড বন্ধ হয়ে গেলে — ব্যবসা থেমে যাবে না, SEO এবং অর্গানিক ট্রাফিক এর কারণে—আপনার ব্যবসা স্থিতিশীল থাকবে এবং ক্রেতারা নিজেই আপনাকে খুঁজে নেবে। আবার ইমেইল ও এসএমএস মার্কেটিং করে আপনি আপনার প্রয়োজনে গ্রাহকের কাছে পৌছাতে পারবেন । 

আপনার ব্যবসার টিকে থাকার নতুন উপায় ভাবুন!​

আপনার কি মনে হচ্ছে ফেসবুক অ্যাডে আগের মতো রেজাল্ট আসছে না? ক্রেতারা দ্রুত আপনার পণ্য দেখছেন, কিন্তু বিক্রি খুব একটা বাড়ছে না? এর ওপর আবার ট্যাক্সের ১৫% যোগ হওয়ায় বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
যারা শুধুমাত্র ফেসবুক অ্যাডের ওপর নির্ভরশীল, তাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ এখন বেশ চাপের মধ্যে।

আপনি কি ভেবেছেন, যদি আপনি হঠাৎ করে ফেসবুক অ্যাড বন্ধ করেন অথবা অ্যাড খরচ আরও বেড়ে যায়, আপনার বিক্রি কীভাবে ধরে রাখবেন?

তাই এখন সময় এসেছে, শুধু ফেসবুক অ্যাডের বাইরে চিন্তা করার। একটি টেকসই এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশল তৈরি করে আপনার ব্যবসাকে নতুন একটি লেভেলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা।

আপনার ব্যবসার টিকে থাকার নতুন উপায় ভাবুন!​​

ফেসবুক অ্যাডের বর্তমান বাস্তবতা: আর কত দিন এই চাপ সহ্য করবেন?

১. খরচ বাড়ছে, লাভ কমছে

  • প্রতিটি অ্যাড ক্লিক পেতে এখন আগের তুলনায় বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
  • নতুন ১৫% ট্যাক্সের কারণে ফেসবুক অ্যাডের মাসিক বাজেটের ওপর আরও অতিরিক্ত খরচ চাপ পড়ছে।
 

২. অ্যাড বন্ধ মানেই বিক্রিও বন্ধ

ফেসবুক অ্যাডের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো, অ্যাডের মাধ্যমে পাওয়া ক্রেতারা শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক ক্রেতা। অ্যাড বন্ধ করার পর তাদের অনেকেই আর পণ্য খুঁজে পাবেন না।

৩. ক্রেতার আস্থা অর্জন করা অনেক ঝামেলার মনে হচ্ছে

ফেসবুক অ্যাড নিয়ে মানুষের আস্থা কমছে। এখন ক্রেতারা গুগলে গিয়ে খোঁজেন—আপনার ব্র্যান্ড বা পণ্য আসলেই কতটা বিশ্বাসযোগ্য। শুধুমাত্র ফেসবুক পেইজ থেকে প্রফেশনাল ইমেজ তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে।

টিকে থাকার নতুন উপায়: ফেসবুক অ্যাডের বাইরে বেরিয়ে আসুন

SEO: আপনার ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদী সাপোর্ট

আপনার পণ্য বা সেবা যদি মানুষ সরাসরি গুগলের মাধ্যমে খুঁজে পায়, তাহলে আপনি ফেসবুক অ্যাড ছাড়াই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।

  • SEO মানে আপনি ক্রেতার কাছে যাবেন না, ক্রেতা আপনার কাছে আসবে।
  • Google সার্চ থেকে আসা ট্রাফিক “নন-পেইড,” যার মানে অতিরিক্ত কোনো খরচ নেই।

উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক: আপনার হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রি হয়। ক্রেতারা যদি গুগলে “সেরা হ্যান্ডমেড পণ্যের দোকান ঢাকা” লিখে সার্চ করেন, আর আপনার ব্র্যান্ড সার্চ রেজাল্টে থাকে, তারা সরাসরি আপনার ওয়েবসাইট বা পেইজে চলে আসবেন। এটা তৈরি করলে এক্সট্রা অ্যাড খরচ ছাড়াই ক্রেতা পাবেন প্রতিদিন।

মাল্টি-চ্যানেল মার্কেটিং করুন

 এখন আর শুধু ফেসবুক অ্যাডের ওপর নির্ভর না করে, নানা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা জরুরি।

  • ই-মেইল মার্কেটিং: আপনার নিয়মিত ক্রেতাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
  • ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব, ওয়েবসাইট: বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতা টানুন।
  • ব্লগ লিখুন ও স্টোরি শেয়ার করুন: গুগলে আর সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে।
 

ফেসবুক অ্যাডের অ্যাপ্রোচ বদলান

ফেসবুক অ্যাড এখনও তাৎক্ষণিক ফলের জন্য সেরা। তবে অ্যাড প্ল্যান স্মার্ট না হলে খরচ সুযোগের চেয়ে বেশি হবে।

  • একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা করুন।
  • Pixel ও Re-marketing ব্যবহার করুন। মানে, যেসব গ্রাহক আগে অ্যাড দেখেছেন, তাদের টার্গেট করুন।
  • ফেসবুক অ্যাডকে SEO এবং ইমেইল মার্কেটিংয়ের সাথে সংযুক্ত করুন, যাতে একাধিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ফল পান।

আপনার লক্ষ্য কী হওয়া উচিত?

আপনার ব্যবসার জন্য কেবল আজকের বিক্রি নয়, বরং একটি স্থায়ী কৌশল তৈরি করুন, যা ফেসবুক অ্যাডের খরচ না বাড়িয়েও লাভ আনতে পারে।

SEO, ব্লগ, ই-মেইল এবং ফেসবুক-এর মাধ্যমে একটি ব্যালেন্সড মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করুন। আজকের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যেভাবে শুধু একটি মাধ্যম যেকোনো সময় ব্যয়বহুল কিংবা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে, সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে হলে আপনার মার্কেটিং পন্থাও স্মার্ট হতে হবে।

SEO কীভাবে ফেসবুক অ্যাডের পরিপূরক হতে পারে?

দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল

SEO হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল। এটি একবার সঠিকভাবে সেটআপ করা হলে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অর্গানিক ট্রাফিক এনে দেয়।

উদাহরণ: আপনি যদি গুগলে “আমাদের দেশে তৈরি বিশুদ্ধ কাচের চুড়ি” লিখলে র‍্যাংক করেন, SEO নিশ্চিত করবে ক্রেতারা আপনাকে খুঁজে পাবে এমনকি আপনি বিজ্ঞাপন না চালালেও।

ফেসবুক অ্যাডের খরচ প্রতিদিন বাড়তে থাকে, কিন্তু একবার SEO স্ট্র্যাটেজি সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী উপর্যুপরি ফলাফল পেতে পারবেন।

নতুন গ্রাহকদের ধরার সুযোগ

SEO আপনাকে নতুন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে যারা গুগলে সরাসরি পণ্য বা সেবা খুঁজছেন। এটি শব্দ-বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত করে যে, আপনার পণ্য এবং সার্ভিস মানুষের অনুসন্ধানের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মিলে যায়।

যেখানে ফেসবুক অ্যাড শুধুমাত্র পূর্ব-নির্ধারিত ইন্টারেস্ট বা টার্গেট দর্শকদের কাছে পৌঁছায়, SEO নতুন অডিয়েন্স এবং সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারী ক্রেতাদের মন জয় করতে সাহায্য করে।

খরচ সামঞ্জস্য করা

SEO সাহায্য করে আপনার ফেসবুক অ্যাডের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে। ফলাফল? বিজ্ঞাপনের খরচ কমে যায়, আর আপনার ব্যবসায় স্থিতিশীলতা আসে।

আপনি ফেসবুক অ্যাড এবং SEO একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: ফেসবুক অ্যাড দিয়ে সময়মতো ট্রাফিক আনেন, তবে SEO দীর্ঘমেয়াদে আপনার ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠা করে। এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ কৌশল, যেখানে পেইড অ্যাড এবং অর্গানিক ট্রাফিক একসঙ্গে কাজ করে।

SEO কীভাবে ফেসবুক অ্যাডের পরিপূরক হতে পারে?

স্থায়ী বিনিয়োগের ফলাফল

SEO হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশল। এটি একবার সঠিকভাবে সেটআপ করা হলে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অর্গানিক ট্রাফিক এনে দেয়।

  • উদাহরণ: আপনি যদি গুগলে “আমাদের দেশে তৈরি বিশুদ্ধ কাচের চুড়ি” লিখলে র‍্যাংক করেন, SEO নিশ্চিত করবে ক্রেতারা আপনাকে খুঁজে পাবে এমনকি আপনি বিজ্ঞাপন না চালালেও।
  • ফেসবুক অ্যাডের খরচ প্রতিদিন বাড়তে থাকে, কিন্তু একবার SEO স্ট্র্যাটেজি সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে এর ফলে দীর্ঘমেয়াদী উপর্যুপরি ফলাফল পেতে পারবেন।
 

নতুন এবং অপ্রাপ্ত গ্রাহকদের ধরার সুযোগ

SEO আপনাকে নতুন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে যারা গুগলে সরাসরি পণ্য বা সেবা খুঁজছেন। এটি শব্দ-বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত করে যে, আপনার পণ্য এবং সার্ভিস মানুষের অনুসন্ধানের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মিলে যায়।

যেখানে ফেসবুক অ্যাড শুধুমাত্র পূর্ব-নির্ধারিত ইন্টারেস্ট বা টার্গেট দর্শকদের কাছে পৌঁছায়, SEO নতুন অডিয়েন্স এবং সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারী ক্রেতাদের মন জয় করতে সাহায্য করে।

খরচ সামঞ্জস্য রক্ষা করা সহজ হবে

SEO সাহায্য করে আপনার ফেসবুক অ্যাডের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে। ফলাফল? বিজ্ঞাপনের খরচ কমে যায়, আর আপনার ব্যবসায় স্থিতিশীলতা আসে।

  • আপনি ফেসবুক অ্যাড এবং SEO একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: ফেসবুক অ্যাড দিয়ে সময়মতো ট্রাফিক আনেন, তবে SEO দীর্ঘমেয়াদে আপনার ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠা করে।
  • এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ কৌশল, যেখানে পেইড অ্যাড এবং অর্গানিক ট্রাফিক একসঙ্গে কাজ করে।

কম্বাইন্ড SEO এবং ফেসবুক অ্যাডের কৌশল তৈরি করুন

একজন এক্সপার্ট এর কাছে থেকে জেনে নিন আপনাদের ব্যবসার জন্য কোন স্ট্র্যাটেজি সঠিক হবে। আমাদের বিনামূল্যে কনসালটেশন নিন এবং আপনার ব্যবসার জন্য একটি কাস্টম স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে নিন। 

👉 ফ্রি পরামর্শ নিন

আপনার ব্যবসার ভবিষ্যৎ আরও শক্তিশালী করতে—একটি স্মার্ট, ভারসাম্যপূর্ণ কৌশল প্রয়োজন।

ফ্রি পরামর্শ করুন আমাদের সাথে  আর জেনে নিন —

  • আপনার বিজনেস এর জন্য SEO কি দীর্ঘমেয়াদে অর্গানিক ট্রাফিক এনে দেবে?
  • নাকি শুধু Facebook Ads ভালো রেজাল্ট আনবে?
  • না, আপনার ব্যবসার জন্য দুই মাধ্যমকে একত্রে ব্যবহার করতে হবে?